ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে হবিগঞ্জে ঝড়ো হাওয়ার সাথে হয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত। ফলে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা, উপড়ে গেছে গাছপালা, ধ্বসে পড়েছে কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ি ঘর। এছাড়াও গত ৪৮ ঘণ্টা যাবত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে পুরো শহরের বাসিন্দারা। আবার বানিয়াচং, বাহুবলসহ বিভিন্ন উপজেলায় রাত ১১টায়ও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুত আসেনি। এদিকে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টিপাত অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে স্থানীয় বাসিন্দাদের। অনেক স্থানে আবার বাসাবাড়িতেও পানি উঠতে দেখা গেছে। যদিও গত মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত সোমবার থেকেই হবিগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে দমকা হাওয়ার সাথে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সন্ধ্যার পর থেকে একটানা পুরো রাত হয় ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টিপাত। যে কারণে অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যায়। আবার কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর পড়ে যায় বড় বড় গাছ, যে কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পুরো শহর। জনজীবনে নেমে আসে স্থবিরতা।
সরেজমিনে শহরের বিভন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর, মোহনপুর, অনন্তপুর, সিনেমা হল, ঘোষপাড়া, কোর্ট স্টেশন, সদর মডেল থানা, উত্তর শ্যামলী, হরিপুর, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনের সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে পানি জমে রয়েছে। বিশেষ করে পাড়া মহল্লার অলিগলিতে হাটু পানি পর্যন্ত সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, দুইদিন যাবত হবিগঞ্জের উপর দিয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে দমকা হাওয়া। যে কারণে অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জুয়েল চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া হয়। বাতাস বেশি থাকায় গাছপালা উপড়ে পড়ে যায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর। তিনি বলেন, সোমবার বিকেল থেকেই শহরে বিদ্যুৎ নেই। নেই বাসা বাড়িতে পানি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে আমাদের।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বলেন, ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ লাইন অনেক স্থানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মেরামত করতে মাঠে কাজ করছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তিনি বলেন, কাজ শেষ করে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।